ভালো একজন এ্যাপ ডেভলপার হওয়ার জন্য আপনাকে ভালো প্রোগ্রামিং শিখতে হবে। আপনি যদি প্রোগ্রামিং ভালো করে না জেনে এ্যাপ ডেভলপমেন্ট করতে যান সেটা ভবিষ্যতের জন্য ভালো ব্যাপার হবে না কারন আপনার ভিত্তি দূর্বল থাকবে। তাই মূল জ্ঞান যেহেতু প্রোগ্রামিং তাই প্রোগ্রামিং বিশেষ করে অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং আলাদাভাবে শেখার বিকল্প নাই।
বাংলায় অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড কটলিন শিখতে নিচের দুটি কোর্স আপনাকে সহায়তা করবে:
এই কোর্সে আপনি প্রোগ্রামিংয়ের অ-আ শিখবেন অর্থাৎ অর্থাৎ শূন্য থেকে প্রোগ্রামিং শুরু করবেন, আপনার যদি প্রোগ্রামিংয়ের জ্ঞান আগে না থাকে তবুও এই কোর্স আপনাকে প্রোগ্রামিংয়ের ভিত্তি দিয়ে দিবে। এই কোর্সে যে সকল বিষয় দেখানো হয়েছে সেগুলো হলো:
- কটলিন প্রোগ্রামিং কি এবং কেন শেখা উচিত
- JDK ও IDE ইনস্টল
- ভেরিয়েবল ও ডেটা টাইপ
- বিভিন্ন অপারেটর
- ইফ-এলস-লুপ
- ফাংশন তৈরি ও গঠন
- স্ট্রিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা
- এক্সেপশন হেন্ডলিং
- রেঞ্জ
- কালেকশন
মোট ৭৪ টি লেসনের কোর্সটির এই টপিকগুলো শেষ করে যদি আপনি মনে করেন প্রোগ্রামিং বুঝতেছেন তাহলে এবার অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড ও এডভান্সড টপিকগুলো শেখার পালা।
২. মাস্টারিং কটলিন – এডভান্সড:
এই এডভান্সড কোর্স করার পূর্ব শর্ত হলো বেসিক জানা থাকতে হবে যা আমরা আগের কোর্সে শিখেছি। এই কোর্সে দেখানো হয়েছে এডভান্সড বিষয় যা আপনাকে সত্যিকারের প্রোগ্রামার বানিয়ে দিবে। অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ও এডভান্সড টপিকগুলো শিখতে পারবেন এই কোর্সের মাধ্যমে। যে সকল টপিক শিখতে পারবেন সেগুলো হলো:
- অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং (ইনহেরিটেন্স/পলিমরফিজম/এনক্যাপসুলেশন/এ্যাবস্ট্রাকশন সহ OOP নিয়ে ৩৩ টি লেসন)
- নাল সেফটি
- স্কোপ ফাংশন
- কটলিন ও জাভা একত্রে কাজ করা
- ফাইল নিয়ে কাজ করা
- এ্যানোটেশন
- ডিবাগিং
- জেনেরিকস
- মাল্টি-থ্রেডিং ও কো-রুটিন
- রিফ্লেকশন
সবমিলিয়ে ১০৫ টি লেসন রয়েছে এই এডভান্সড কোর্সে। এগুলো শেষ করলে আপনি প্রোগ্রামিংয়ে কনফিডেন্স পাবেন। এরপর কোন একটি ফ্রেমওয়ার্ক কিংবা এসডিকে(SDK) শেখার পালা। আমরা এন্ড্রয়েড এ্যাপ কিংবা ওয়েবের জন্য স্প্রিং বুট ফেমওয়ার্ক শিখতে পারি। যেহেতু আমারদের টার্গেট মোবাইল এ্যাপ তাই মোবাইলের জন্য আমরা শিখবো এন্ড্রয়েড SDK।
এন্ড্রয়েড SDK বা এন্ড্রয়েড এ্যাপ ডেভলপমেন্টের জন্য রয়েছে নিচের ২টি কোর্স। প্রথমটি বেসিকস এবং দ্বিতীয়টি এডভান্সড।
৩. প্রফেশনাল এন্ড্রয়েড – বেসিকস
এডভান্সড কটলিন জানার পর শুরু করতে হবে এই এন্ড্রয়েড বেসিকস কোর্স। এই কোর্সে মোট লেসন রয়েছে ১২৯ টি। এটির মাধ্যমে শিখতে পারবেন এন্ড্রয়েডের মূল কম্পোনেন্টগুলো ও ইউজার ইন্টারফেস UI ডিজাইন। এটি আপনার এ্যাপ ডেভলপমেন্টের ভিত্তি শক্ত করবে। একটি প্রজেক্টের স্ট্রাকচার থেকে শুরু করে যে বিষয়গুলো বিগিনার হিসেবে জানা দরকার তার সবই দেখানো হয়েছে। যে টপিকগুলো দেখানো হয়েছে এই বেসিকস কোর্সে সেগুলো হলো-
- এন্ড্রয়েড স্টুডিও সেটআপ ও IDE পরিচিতি
- এক্টিভিটি ও এ্যাপ্লিকেশন লাইফসাইকেল
- UI ডিজাইন
- কনস্ট্রেইন লে-আউট
- ইভেন্ট নিয়ে কাজ করা
- মেনিফেস্ট ও রিসোর্সের ব্যবহার
- এন্ড্রয়েড কম্পোনেন্ট ও অন্যান্য (ইন্টেন্ট, সার্ভিস, ব্রডকাস্ট রিসিভার, রানটাইম পারমিশন etc.)
- ওয়েব ভিউ প্রজেক্ট
- ফ্রেগমেন্ট
- মেটেরিয়াল ডিজাইন (নেভিগেশন ড্রয়ার, ভিউ পেজার etc)
- কুইজ এ্যাপ প্রজেক্ট
এগুলো শেখার পর আপনার এন্ড্রয়েড SDK নিয়ে ভালো একটা ধারনা তৈরি হয়ে যাবে। আপনি ছোটখাটো বিভিন্ন এ্যাপ তৈরি করা শিখে গেলেন। এখন দরকার ডায়নামিক ও এডভান্সড বিষয়গুলো শেখা যাতে করে জব ও ফ্রিল্যান্সিং করতে সমস্যা না হয়। এজন্য আপনাকে নিচের এডভান্সড কোর্সটি অনুসরন করতে হবে।
৪. প্রফেশনাল এন্ড্রয়েড – এডভান্সড
বেসিক এন্ড্রয়েড শেখার পর আপনাকে এই এডভান্সড কোর্সটি করতে হবে। এই এডভান্সড কোর্সে মূলত ডায়নামিক এ্যাপ ডেভলপমেন্ট করা শেখানো হয়েছে। API ডেভলপমেন্ট ও ইন্টিগ্রেশন, ফায়ারবেস, SQLite ইত্যাদি টপিকগুলো আপনাকে প্রফেশনাল মানের এ্যাপ ডেভলপার করে তৈরি করবে। এই কোর্সে যে টপিকগুলো রয়েছে সেগুলো হলো-
- ভিউ এডভান্সড
- রিসাইকেলার ভিউ
- লোকাল ডেটাবেস (SQLite/Room DB)
- মাল্টিমিডিয়া (Audio/Video/Camera)
- API ডেভলপমেন্ট (PHP+MySql)
- রিট্রোফিট দিয়ে API ইন্টিগ্রেশন
- ফায়ারবেস (Analytics/Auth/Crashlytics/Distribution)
- ফায়ারবেস পুশ এডমিন তৈরি (Push notification – কটলিনে এ্যাপ আর HTML/CSS/JS দিয়ে এডমিন প্যানেল)
- প্রোডাকশনের জন্য বিল্ড করা
- NDK নিয়ে কাজ করা।
এই টপিকগুলো করা হলে আপনি এবার জবে এ্যাপ্লাই করার জন্য প্রস্তুত। এরপর আপনি জবে এ্যাপ্লাই করার পাশাপাশি একটা ডায়নামিক এ্যাপ তৈরি করার চেষ্টা করবেন আর রেজিওমি/সিভি সুন্দর করে তৈরি করার চেষ্টা করবেন, অন্যের সোর্স কোড দেখবেন না, নিজে করবেন গুগল আর স্ট্যাক-ওভারফ্লোর সহায়তায় – এটা আপনার অভিজ্ঞতা তৈরি করবে। এতে আপনার কনফিডেন্স বাড়বে। এই এ্যাপ তৈরি হলে প্লে স্টোরে লাইভ করার চেষ্টা করবেন, না করলেও সমস্যা নাই রেজিওমিতে উল্লেখ করবেন যে আপনি এ্যাপ তৈরি করেছেন এবং এর এই এই ফিচার রয়েছে। জব ইন্টারভিউতে দেখতে চাইলে ফোন থেকে এ্যাপ চালিয়ে দেখিয়ে দিবেন।
রেজিওমিতে লিখবেন এন্ড্রয়েডের এডভান্সড টপিকগুলো যেমন: রোম ডেটাবেস, কাস্টম API ইন্টিগ্রেশন, ফায়ারবেস ইত্যাদি।
রেজিওমিতে লিখবেন না যে বিষয়গুলো: HTML/ CSS/ JS, MS Word, Excel, PowerPoint । অনেকের রেজিমিতে এই ধরনের বিষয় লেখা থাকে যা আপনার রেজিওমিকে হালকা করে ফেলে অনেক ক্ষেত্রে হাস্যকর করে তোলে। আপনি প্রোগ্রামিং করেন মানে হলো এগুলো আপনি অবশ্যই জানেন কারন এগুলো খুব বেসিক জিনিস।
এ্যাপ ডেভলপমেন্ট গাইডলাইন নিয়ে ভিডিওটি দেখুন:
কটলিন ও এন্ড্রয়েড শেখার কোর্সগুলো পেতে নিচের ছবিতে ক্লিক করুন-
-ধন্যবাদ – Happy coding
Tags: Android Development Course in Bangla, Kotlin Programming Tutorial, Professional App Development Training, Learn Mobile App Development Online, Bangla Coding Classes for Beginners, Advanced Android Programming, REST API Development with PHP-MySQL, Mobile Development Courses Online, Bangla IT Professional Courses, Firebase and Kotlin Tutorials, Best bangla android course, best bangla kotlin course, kotlin bangla course and tutorial, android bangla course and tutorial, Bangladesh app development, android bangladesh,